বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২১ অপরাহ্ন
তরফ স্পোর্টস ডেস্ক : জো রুট ও জস বাটলারের সেঞ্চুরির পরও পেরে উঠলো না ইংল্যান্ড। বাজে হার দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করা পাকিস্তান দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল। ওয়েন মর্গ্যানের দলকে হারিয়ে ভাঙল ব্যর্থতার বৃত্ত।
নটিংহ্যামে ১৪ রানে জিতেছে সরফরাজ আহমেদের দল। ৩৪৮ রান তাড়ায় ৯ উইকেটে ৩৩৪ রানে থেমেছে ইংল্যান্ড। এবারের আসরে এটা স্বাগতিকদের প্রথম হার, পাকিস্তানের প্রথম জয়।
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে দেশের মাটিতে রান তাড়ায় কোনো ম্যাচ হারেনি ইংল্যান্ড। রুট-বাটলারের দারুণ দুটি ইনিংসের পরও সেই ধারা ধরে রাখতে পারল না তারা। অন্য দিকে ওয়ানডেতে টানা ১১ ম্যাচে হারার পর জয়ের দেখা পেল পাকিস্তান।
ট্রেন্ট ব্রিজে তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু দুই ওপেনারের ব্যাটে। শুরুর জুটিতে ইমাম-উল-হক ও ফখর জামান তুলেন ৮২ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো ইংল্যান্ডও শর্ট বলে ঘায়েল করতে চেয়েছিল তাদের। তবে এবার ভেঙে পড়েনি পাকিস্তানের ব্যাটিং।
যথারীতি আক্রমণাত্মক ছিলেন ফখর। দেখেশুনে খেলছিলেন ইমাম। কঠিন সময় পার করে দিয়ে অফ স্পিনার মইন আলির বলে ফিরেন তারা।
শুরু থেকে সাবলীল ছিলেন বাবর। একটু নড়বড়ে ছিলেন হাফিজ। ১৪ রানে ক্যাচও দিয়েছিলেন তিনি। জেসন রয়ের ব্যর্থতায় বেঁচে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে ফিরে পান নিজেকে। জমে উঠে তৃতীয় উইকেট জুটি।
পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টায় ছিলেন বাবর। চারটি চার ও একটি ছক্কায় ৬৩ রান করা টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে নিজের তৃতীয় উইকেট নেন মইন।
সরফরাজের সঙ্গে আরেকটি ভালো জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন হাফিজ। পাকিস্তান পায় বড় সংগ্রহের ভিত। আট চার ও দুই ছক্কায় ৮৪ রান করা হাফিজকে থামিয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠা জুটি ভাঙেন মার্ক উড।
পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর বেশিক্ষণ টিকেননি সরফরাজ। পাকিস্তান অধিনায়ক ৪৪ বলে ৫ চারে করেন ৫৫ রান। শেষের দিকে নিয়মিত উইকেট হারালেও সবার ছোট ছোট অবদানে ৩৪৮ পর্যন্ত যায় পাকিস্তান। বিশ্বকাপে এরচেয়ে বড় ইনিংস তাদের আছে আর একটি। ২০০৭ আসরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩৪৯।
চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে আউটফিল্ডে চারটি ক্যাচ নেন ক্রিস ওকস। ইংল্যান্ডের এই পেসার নেন তিনটি উইকেটও।
বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটাই কোনো দলের সর্বোচ্চ রান। আগের সেরা ছিল গত আসরে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার ৯ উইকেটে ৩৪২।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ৩৪৮/৮ (ইমাম ৪৪, ফখর ৩৬, বাবর ৬৩, হাফিজ ৮৪, সরফরাজ ৫৫, আসিফ ১৪, মালিক ৮, ওয়াহাব ৪, হাসান ১০*, শাদাব ১০*; ওকস ৮-১-৭১-৩, আর্চার ১০-০-৭৯-০, মইন ১০-০-৫০-৩, উড ১০-০-৫৩-২, স্টোকস ৭-০-৪৩-০, রশিদ ৫-০-৪৩-০)
ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩৩৪/৯ (রয় ৮, বেয়ারস্টো ৩২, রুট ১০৭, মর্গ্যান ৯, স্টোকস ১৩, বাটলার ১০৩, মইন ১৯, ওকস ২১, আর্চার ১, রশিদ ৩*, উড ১০*; শাদাব ১০-০-৬৩-২, আমির ১০-০-৬৭-২, ওয়াহাব ১০-০-৮২-৩, হাসান ১০-০-৬৬-০, হাফিজ ৭-০-৪৩-১, মালিক ৩-০-১০-১)
ফল: পাকিস্তান ১৪ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: মোহাম্মদ হাফিজ